আনোয়ার হোছাইন , ঈদগাঁও ::::
কক্্রবাজার সদরের ঈদগাঁওতে সরকারী খাল ও সড়কের জায়গা দখল করে অবৈধ বহুতল ভবন নির্মাণের মহোৎসবে মেতেছে এক প্রাথমিক শিক্ষক । এতে স্থানীয় ভুমি অফিসের যোগসাজশ থাকতে পারে বলে এলাবাসীর সন্দেহ । সরে জমিনে দেখা যায়, ঈদগাঁও-কক্্রবাজার অভ্যন্তরিণ সংযোগ সড়কের ঈদগাঁওস্থ জালালাবাদ ইউনিয়নের পালাকাটা গ্রামে সড়ক সংলগ্ন দীর্ঘ কয়েক যুগ পুর্বে স্থাপিত পানি চলাচলের একমাত্র খাল ও সড়কের জায়গা দখল করে তার উপর অবৈধ বহুতল ভবন নির্মাণ করছে পার্শ্ববর্তী চৌফলদন্ডী খোনকারখিল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক এহছানুল হক। বিগত দুই সপ্তাহের বেশী সময় ধরে এ অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ অব্যাহত থাকলেও রহস্যজনক কারণে কার্যকর কোন ব্যবস্থা নেয়নি সংশ্লিষ্ট ভুমি অফিস। নির্মাণ কাজে নিয়োজিত এক শ্রমিকের সাথে কথা হলে জানান,সে সাতকানিয়া থেকে এসেছে কাজ করতে । স্থানীয়দের অভিযোগ,দিবালোকে ঈদগাঁওর সাথে কক্্রসবাজারের আভ্যন্তরিন যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম এ সড়কের জায়গা ও তার গা ঘেষে থাকা ঐতিহ্যবাহী ভরা খালের জায়গার উপর অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে যাচ্ছে উক্ত সরকারী কর্মচারী । ইতিমধ্যে ঈদগাঁও ভুমি অফিস এ বিষয়টি অবগত হলেও বিগত ৩/৪ দিন পূর্বে নামে মাত্র ঘটনাস্থলে লোক পাঠিয়ে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ কাজ বন্ধ করে না দিয়ে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে বলে চলে আসে । সে থেকে অদ্যাবধি স্থাপনার কাজ চালিয়ে গেলেও রহস্যজনক ভাবে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা । এলাকাবাসীর ধারণা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নবাগত হওয়ার সুযোগে ঈদগাঁও ভুমি অফিসের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা মোটা অংকের বিনিময়ে এ অবৈধ স্থাপনা নির্মাণে সুযোগ করে দিচ্ছে ।। যদি তড়িৎ এ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা না হয়, তাহলে এর সাথে থাকা উক্ত সড়ক ও নদীর অবশিষ্ট অংশেও অচিরেই অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের মহোৎসব শুরু করতে উৎসাহিত হবে পার্শ্ববর্তীরা । এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে বর্ষা মৌসুমে পানি চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে । যার ফলে পুরো এলাকা বন্যায় প্লাবিত হবে এবং সড়কটি ক্রমশ: ছোট হয়ে আসলে দুর্ঘটনা অশংকাজনক হারে বেড়ে যাবে বলে শংকা প্রকাশ করছে এলাকাবাসী । তারা জনস্বার্থে উক্ত স্থাপনা উচ্ছেদে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্থক্ষেপ কামনা করছেন । অভিযোগ উঠা শিক্ষক এহছানের সাথে যোগাযোগ করা হলে, সরকারী জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণের ঘটনা অবগত নয় জানান । ঈদগাঁও ভুমি অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খালেদার সাথে যোগাযোগ করা হলে জানান,বিগত ৩/৪ দিন পূর্বে অফিস থেকে লোক পাঠিয়ে তাদের কাগজ পত্র নিয়ে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে, কিন্ত যোগাযোগ করেনি। কাজ বন্ধ না করার বিষয়ে জানতে চাইলে তাদের পুনরায় ডাকা হবে । অন্যতায় সীমাবদ্ধতা কারণে তাদের বিরুদ্ধে উপরে রিপোর্ট করা হবে জানান । উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান ।
পাঠকের মতামত: